, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


পাগলা মসজিদের দানবাক্সে সাড়ে ৫ কোটি টাকা, এখনও চলছে গণনা

  • আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৩ ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৩ ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে সাড়ে ৫ কোটি টাকা, এখনও চলছে গণনা ফাইল ছবি
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স থেকে পাওয়া ২৩ বস্তা টাকা গণনায় ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এখনও টাকা গণনা চলছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল সোয়া ৮টায় মসজিদের দানবাক্স খুলে টাকাগুলো মসজিদে দোতলায় গণনার জন্য আনা হয়।

জানা গেছে, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়। পরে ২৩টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

এদিকে গত ৬ মে মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯ বস্তায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার (১৯ আগস্ট) টাকা গণনাকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার আগেই ৫ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে টাকা প্রাপ্তির নতুন রেকর্ড হবে।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’